কেজি (কিন্ডারগার্ডেন) এর শিক্ষা ব্যবস্থা

কেজি স্কুল এর শিক্ষা ব্যবস্থা।

শিক্ষাই জাতির মেরুদন্ড। যে জাতি যত বেশি শিক্ষিত, সেই দেশ তত বেশি উন্নত। এই প্রচলিত প্রবাদটি আমরা সকলেই জানি। কিন্তু এর যথার্থতা আমরা ঠিক কতটাই বা জানি।সেই সুবাদে বাংলাদেশ্ও আজ আর পিছিয়ে নেই। দেশের সাধারন পর্যায় থেকে শুরু করে দেশের সরকারও শিক্ষার জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করে আসছে। যাতে করে দেশের সাধারন পরিবার থেকে শুরু করে উচ্চ পর্যায় পর্যন্ত শিক্ষার হারা ক্রমাগতভাবে বেড়ে চলেছে। সেই সুবাদে দেশের গ্রামীন পর্যায় থেকে শুরু করে শহর পর্যায়ে দেশে বিভিন্ন সমাজের বিভিন্ন পেশার মানুষ তাদের গড়ে তুলেছেন বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্টান। লেখাপড়ার দিক থেকে আজ গ্রামও শহর থেকে বেশি দুরে নয়।   

সাধ ও সাধ্যের মধ্যে সবাই চায় তার ভবিষ্যত প্রজন্মকে ভাল শিক্ষায় শিক্ষিত করতে। এর প্রভাবেই গ্রামে-গঞ্জেও গড়ে উঠেছে কিছু সংখ্যক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। ভাল ও আধুনিক শিক্ষা প্রদানের জন্য গ্রামের গড়ে উঠেছে কিছু কিছু কেজি স্কুল (কিন্টারগার্ডেন) । কিন্তু দুখজনক হলেও সত্য যে এই সব স্কুলে না আছে কোন পরিবেশ, না আছে কোন পাঠ্যসূচী, নেই কোন প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত শিক্ষক/শিক্ষিকা। জোড়াতালির অবোকাঠামোতে নড়বড়ে বেঞ্চে সবে চলকে পাঠতান। তাও গ্রামের আধপড়া (অল্প শিক্ষিত) কিছু সংখ্যক ছেলে মেয়েদের দ্বারা। তবে এসব গুলো একই রকম না হলেও বেশির ভাগের অবস্থাই এরুপ। বেতন বা টউশন ফি মোটামুটি যথেষ্ট। তাছাড়া ছোট ছোট বাচ্চাদের কাধে চাপিয়ে দেয়া হচ্ছে এক গাদা বই-খাতা। যা কচি কচি বাচ্চাদের জন্য সঠিক নয় বলে অনেকেই মনে করেন। তাই অনেকের মতে এই কেচি স্কুল গুলোর জন্য নিদৃষ্টি নীতিমালা প্রনয়ন করত পাঠ্যসুচি নির্ধারন করার জন্য সরকারকেই পদক্ষেপ গ্রহণ করা উচিত। তাহলে হয়তো বা এই স্কুল ব্যবসাও সমতায় আসতো এবং লেখাপড়ার মানও উন্নত হতো।
    
অন্য দিক দিয়ে ভাবলে কেজি স্কুল গুলোর মান সম্মত লেখা পড়া সরকারী  প্রাথমিক বিদ্যালয় গুলোতেও হতে পারে । প্রয়োজন শুধু সচেষ্ট হওয়া। বর্তমানে সরকার ও দেশের সাধারন সুশিল সমাজের কারনে আজ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় গুলোর মান এখন অনেক উন্নত। সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপে সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রী পাচ্ছে উন্নত শিক্ষা। কিন্তু আমাদের আরও একটু সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে। শিক্ষা বিভাগের স্বতন্ত্র তদারকিতে এর মান আরও বৃদ্ধি পাবে। এতে করে কেজি (কিন্ডারগার্ডেন)-এ অধিক ব্যয়ে পড়ার প্রবনতা  কমে যাবে। এক্ষেত্রে অভিভাবকগনের
আর্থিক সাশ্রয় হবে।

লেখক
(অব) ওয়ারেন্ট অফিসার
আলহাজ্ব মো সিরাজুল হক

Post a Comment

Previous Post Next Post